খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালের মোকামে অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসককে কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। গতকাল রোববার মতবিনিময় সভায় নির্দিষ্ট একটি চালকলের নাম উল্লেখ করে তিনি সেখানের ধান ও চালের মজুতের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা হতে চললেও খাজানগরে অভিযান চালানো হয়নি। সেখানে অন্তত ৫২টি অটো রাইস মিল আছে, যা দেশের চাহিদার ৩০ শতাংশ চাল সরবরাহ করে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন বানু আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে অভিযানের ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তিনি আজ (সোমবার) কথা বলে অভিযান চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছিলেন। তিনি (জেলা প্রশাসক) আজ একটি সভা করেছেন। একটু পর আবারও তাঁর সঙ্গে আলাপ করে অভিযান চালানো হবে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, আজ বিকেলে তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন।
গতকাল খাদ্যমন্ত্রী যশোর থেকে সরাসরি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগরের তিনটি অটো রাইস মিলে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন। তিনি সেখানে পর্যায়ক্রমে ফ্রেশ অ্যাগ্রো, রশিদ অ্যাগ্রো ও দেশ অ্যাগ্রো রাইস মিল পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রী দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘অবৈধ মজুতদারী রোধে করণীয় ও বাজার তদারকি’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
সভায় সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, গুদামের ভেতরে রাখা ধানের বস্তার চারপাশে মাকড়সার জাল। এক থেকে দুই ইঞ্চি পুরু ময়লার স্তর। দেখে মনে হচ্ছে, সেগুলো বেশ কয়েক মাস ধরে পড়ে আছে। চাল উৎপাদনে এসব ধান ব্যবহৃত হয় না। গুদামে চালের বস্তার মজুতও যথেষ্ট। যা মামলা করার মতো অবস্থা। মামলা হওয়া দরকার। তখন মন্ত্রী জেলা প্রশাসককে দেশ অ্যাগ্রো রাইস মিলে এখনই ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অন্যান্য মিলেও অভিযান চালানোর কথা বলেন।
Leave a Reply