প্রতিবাদলিপি

সম্পাদক/বার্তা সম্পাদক মহোদয়,

আমি প্রফেসর ডঃ এম এ রহিম, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম) এর বর্তমান সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির একজন সদস্য।
দৈনিক সমকাল পত্রিকায় গত ২৩শে মে প্রকাশিত একটা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কতিপয় অসাধু মতলববাজ সদস্য মিলে আমার বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান সাহান হাতেগনা কয়েকজন এর সাথে আতাতের সুবাদে একটা ষড়যন্ত্রমূলক সাধারণ সভা আয়োজন করে। যা কিনা বিডিচ্যামের সংবিধানের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। উল্লেখ্য ঐ সাধারণ সভায় সূধী সমাজের কোন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। হাতেগনা কতিপয় স্বার্থান্ন্যেসী সদস্যদের সহযোগিতায় মোঃ সাহিদ্দুজামান টরিকের নেতৃত্বে ও ঊষ্কানীতে ঐ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডঃ এম এ রহিম, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারন সভায় নির্বাচিত সভাপতি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার এবং লোক চক্ষুর অন্তরালে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে গঠন করা বাতিল কমিটি ও সাধারণ সভা আয়োজনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কোন বৈধ প্রক্রিয়া ছাড়াই পাঁচ জন সূধী সদস্যবৃন্দকে আজীবন বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে যেন বিডিচ্যাম কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি!

এবারের এজিএম নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হওয়ায় আমি নিজে সিঙ্গাপুর সরকারের মহামান্য আদালতের কাছে একটা সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সময় অনুরোধ করেছি যার শুনানির দিন ৮ই জুন ধার্ষ করা হয়েছে। এই নোটিশ জারি করার সাথে সাথে মোঃ সাহিদ্দুজামান টরিক ও গুটিকয়েক অশালীন সদস্যদের সাথে আঁতাত করে এই সাধারণ সভা আয়োজন করেছে যার আইনী কোন বৈধতা নেই। ফলে বিডিচ্যামের কোনো সাধারণ সদস্য এই এজিএম এবং তথাকথিত বানোয়াট কমিটিকে কখনো কোনোভাবেই সমর্থন করে না, বরং সকল সদস্য আজ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার। অতিসত্তর একটা সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বৈধ নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

অতএব আমার/সাধারণ সদস্যদের এই প্রতিবাদ আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশ করে আমার সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার সাথে সাথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের সুনাম বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।

ধন্যবাদান্তে,
প্রফেসর ডঃ এম এ রহিম
সভাপতি,
বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অফ সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)

উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য
বাংলাদেশ প্রবাসী সেবা সংস্থা